Ticker

6/recent/ticker-posts

All the interesting information about Padma bridge.

 

Padma Bridge

অবশেষে দৃশ্যমান হলো 6.15 কিলোমিটার  দৈর্ঘ্য সম্পূর্ণ পদ্মা সেতুর  সব স্প্যান, এর মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পেল সেতুর মূল কাঠামো, বাংলাদেশে প্রবেশ করল পৃথিবীর দীর্ঘতম সেতুগুলোর তালিকায়, আর এসবের মাধ্যমে পদ্মা সেতু করে ফেলেছে বেশ কিছু বিশ্বরেকর্ড, প্রকল্প সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে,   পদ্মা সেতুর বিশ্বরেকর্ডের সংখ্যা তিনটি,  প্রথমে সেতুর পাইলিং  নিয়ে, পদ্মা সেতুর খুটি নিচে সর্বোচ্চ 122 কিলোমিটার গভীরে স্টিলের পাইল বসানো হয়েছে, এসব পাইল  3 মিটার ব্যাসার্ধের, আর বিশ্বে এখন পর্যন্ত কোন সেতুর জন্য এত গভীরে পাইলিং এর প্রয়োজন হয় না, এবং এত মোটা পাইল বসানো হয়নি,


এরপর দ্বিতীয় রেকর্ডটি হল ভূমিকম্পের বেয়ারিং সংক্রান্ত, এ সেতুতে ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং এর ক্ষমতা হচ্ছে 10 হাজার টন, অর্থাৎ রিখটার স্কেলে নয় মাত্রার ভূমিকম্প টিকে থাকবে পদ্মা সেতু, আর এখনও পর্যন্ত পৃথিবীতে কোন  সেতুতে এমন সক্ষমতার বিয়ারিং লাগানো হয়নি,

তৃতীয় বিশ্ব রেকর্ড টি হলো নদী  শাসন সংক্রান্ত,  পদ্মা নদী শাসনে চীনের টিকাদার সিনোহায়ড্র কর্পোরেশনের সঙ্গে 110 কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ, এবং এর আগে পৃথিবীতে নদী শাসনে এককভাবে এত বড় দরপত্র আর কখনো হয়নি, এছাড়াও পদ্মা সেতুতে পাইলিং ও কুটির কিছু অংশে ব্যবহার করা হয়েছে  মাইক্রোফোইন  সিমেন্ট,  আর সিমেন্ট আনা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া থেকে, এই ধরনের সিমেন্ট  খুব কম স্থাপনাই ব্যবহার করা হয়, অন্যদিকে নদীর পানি থেকে প্রায় 18 মিটার উঁচু পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো, ফলে পানির উচ্চতা যতই বাড়ুক না কেন এর নিচ দিয়ে 5 তলার সমান উচ্চতার যেকোনো  নৌ জাহাজ সহজে চলাচল করতে পারবে, আর সেতুর সব জায়গায় এমন উচ্চতা থাকার কারণ হল সেতুর ভিতর দিয়ে থাকা রেললাইন, সড়ক ও রেল লাইন একসঙ্গে থাকলে সেতু সাধারণত  সবদিকে সমান হয়,  কারণ সমান না হলে ট্রেন চলাচল বেশ কঠিন হয়ে পড়ে, এছাড়াও বিভিন্ন মৌসুমে পদ্মার পানির প্রবাহ পরিবর্তন দেখা যায়, কখনো মাওয়া প্রান্তে আবার কখনো জাজিরা প্রান্তে সরে যায়, আবার কখনও কখনও মাঝখান দিয়ে স্রোত প্রবাহিত হয়, আর এইজন্যই নৌযান  চলাচলের পথ পদ্মা সেতুর সব স্থানেই সমান উচ্চতায় রাখার চেষ্টা করা হয়েছে, তাছাড়াও এই সেতুর সাথে জড়িয়ে আছে পদ্মার দুইপারের লাখ লাখ মানুষের আবেগ আর অনেকদিনের লালিত স্বপ্ন, পদ্মা সেতু হয়তো এদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল তথা পুরো বাংলাদেশেরই যোগাযোগ ব্যবস্থা বদলে দিবে বদলে অর্থনীতি,  তাছাড়া পদ্মা সেতু নদীর দুই পাড়ের মানুষকে অন্যভাবে আসা যোগাচ্ছে তাদের দেখাচ্ছে নতুন দিনের স্বপ্ন, কারণ এখন আর নদী পার হতে গিয়ে উত্তাল পদ্মার বুকে জীবন দিতে হবে না কাউকে, স্বজনদের কান্না বাড়ি হবে না আকাশ আর বাতাস, এখন আর অসুস্থ বাবা-মায়ের এম্বুলেন্স নিয়ে

ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরীতে বসে থাকতে হবে না, আফসোস করতে হবে না একটুর জন্য বাবা মাকে বাঁচাতে না পারার, ঘন কুয়াশা বা জ্ঝড়ো আবহাওয়ার জন্য আর বসে থাকতে হবে না, তাছাড়া সময়মতো ঢাকায় আসতে না  পাড়ায় চাকরির পরীক্ষা মিস হবে না কারো, স্বপ্ন ভাংবেনা কোন তরুন-তরুনীর.

এটা ছিল আজকের ব্লগের পদ্মা সেতু নিয়ে আকর্ষণীয় কিছু তথ্য... 

Post a Comment

1 Comments

if you have any doubts please let me know